মন খারাপের সিনেমা দারুচিনি দ্বীপ

মন খারাপের সিনেমা দারুচিনি দ্বীপ
(কাকে যেন মনে করে)
যখন প্রাইমারিতে পড়ি-
স্কুল থেকে বনভোজনে গেল
ক্ষণিকায়- খুব কাছেই।
কতই বা খরচ সেই ৭৪-৭৫ সালের দিকে।
যাওয়া হয়ে ওঠেনি, ক’টা টাকার অভাবে।
হাইস্কুলে গিয়েও কয়েকবার পিকনিক মিস করি।
কারণ একই-অর্থের অভাব।
ডিপার্টমেন্ট থেকে শিক্ষা সফরে যেতে পারিনি
সার্কভূক্ত দেশগুলোতে।
কেবল টাকা নয়, দৈন্যতা ছিল নানাদিক থেকে।
আজও যখন বন্ধুরা সার্ক-কান্ট্রি সফরের
গ্রুপ ছবি ফেসবুকে আপলোড করে,
নিজকে ভুলকরে খুঁজি ছবির ভিতর
দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে
বুকের ভিতরটা শূন্য করে দিয়ে
আর অনুশোচনা করি কেবল
অতীতের অনেক না-পাওয়ার বেদনায়।
দারুচিনি দ্বীপের বল্টু-
সেও শেষ পর্যন্ত ট্রেনে উঠতে পারল।
যদিও বাস্তবে এমনটা কমই ঘটে।
নেহায়েত সিনেমার কাহিনী বলে
কেন্দ্রীয় চরিত্র বল্টুর একজন গার্লফ্রেন্ড জুটেছিল।
বাস্তবের-বল্টুদের গার্লফ্রেন্ড জোটে না।
তাই আমার মত এ রকম অনেক বল্টু
স্টেশন পর্যন্তই যেতে পারে না।
প্রকৃতির নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে
আমারমত যে দুচারজন বল্টু স্টেশনে পৌঁছয়
স্টেশনের গন্ডি পেরিয়ে তারা হাতবদল হয়
এক গার্লফ্রেন্ড থেকে আরেকজনের হাতে
রাতের নিশিপাওয়া পথিকের মত
সারারাত পথচলে রাত পোহালে দেখি
পথ এগোয়নি কিছুই-
ঘুরে মরেছি একই বৃত্তের পরিসীমায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *