এটা একজন জাতীয় পর্যায়ের নেতার ছবি। তাঁর বিষয়ে কিছু বলবার মত পর্যাপ্ত জ্ঞান আমার নেই। তাই বিশদে গেলাম না। যা জানি তা হল- তিনি একজন মহান নেতা। পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন বহু আগেই। কিন্তু বহুযুগ পরে এসেও আমার মতো আমজনতা তাঁকে শুধু ঠিকই মনে রেখেছে তাই নয়, সীমাহীন সম্মানের সাথেই মনে রাখা হয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও কূটনৈতিক দক্ষতা ছিল ব্যাপক। চাইলেই পয়সা কড়ি, বাড়ি-গাড়ী করতে পারতেন, আয়েশি জীবন কাটাতে পারতেন, কিন্তু করেন নি। অহেতুক দাপট দেখিয়েছেন এমনটা জানা যায়নি। কিন্তু এখন একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যেরও হয়ত একটি ব্যয়বহুল পাকা বাড়ি আছে। এখনকার একজন ছাত্রনেতারও কোটি টাকার সম্পদ থাকার খবর শোনা যায়। তারা নিজেদেরকে চেনাতে খুব চেষ্টা করেও ফেল মারে।
কারণটা খুব সহজ, রাজনীতি করতে হয় নিজের খেয়ে অন্য মানুষের স্বার্থ উন্নয়নে, এতে করে দেশের আর্থসামাজিক ভারসম্য ঠিক থাকে, কারণ আমজনতার স্বার্থ ঠিক থাকলে তারা আজেবাজে কাজে জড়ানোর দরকার মনে করে না। আর যে বা যারা তাদের স্বার্থে কাজ করে, তাকে বা তাদেরকে চিরদিন্ নিজের অন্তরে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে ধারণ করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও ধারণ করতে উৎসাহিত করে যায়।
নিজের পকেট ভারী করা নীতি অনুসরণ করে দুনিয়ার ইতিহাসে কেউ কখনও সফল রাজনীতিক হতে পারেনি, পারবেও না, সম্ভবও না। ভোটে জেতাটাই সবকিছু নয়। সম্পদ কখনও চিরদিন একহাতে থাকে না, এটাই সম্পদের ধর্ম। অন্যের হক মেরে গচ্ছিত অর্থ কাউকে নিশ্চয়তা দিতে পারে না, সুখ দিতে পারে না, ভালোভাসা দিতে পারেনা, সফলতা দিতে পারেনা, সামাজিক অবস্থান দিতে পারে না, এই নিরেট সত্য মগজহীন কিছু নামসর্বস্ব রাজনীতিক বোঝার যোগ্যতাই রাখেনা, এটা বুঝতেও কিছুটা বেসিক জ্ঞান লাগে, যে ব্যাপারে তারা নিঃস্ব।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চিরদিন বেঁচে থাকবেন এ দেশের আমজনতার অন্তরে, কারণ জীবনের মূল্যবান সময়গুলো এই দেশের মানুষদের জন্যই অকাতরে ব্যয় করে গিয়েছেন।
১৭ নভেম্বর ২০১৮