৫০ বছর আগের একটি মামলার তদন্ত পেছাতে পেছাতে আজ তার প্রতিবেদন জমা দেয়া হলো। চাঞ্চল্যকর এই তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় শুধু বাদী-বিবাদী ছিলো না; ছিলো গোটা দেশের আপামর মানুষ; যার বয়স মাত্র কুড়ি বাইশ সেও!
এমন একটি আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা তদন্ত প্রতিবেদন খুব দ্রুতই পাবলিক করে দেয়া হলো। সংবাদমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক কাভারেজ পেলো। শুরু হলো চুলচেরা বিশ্লেষণ, আলাপ আলোচনা। তবে দিনশেষে পক্ষে বিপক্ষের প্রায় সবাই একবাক্যে মেনে নিলো তদন্ত প্রতিবেদন সঠিক ও নিখুঁত হয়েছে, কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি।
অনেক রথী-মহারথীর নাম উঠে এসেছে প্রতিবেদনে, যাদের বিরাট শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। অর্ধ শতাব্দী আগে ঘটে যাওয়া নৃ*/শংস সেই ঘটনার পেছনে এমনসব নাম আসবে সেটা তখনকার মানুষেরা অনেকেই ধারণা করতো বটে কিন্তু তাইবলে এতটা বেশি মানুষের কল্পনাতে ছিলোনা, এবং ঘটনা ঘটানোর বিবরণ অপরাধ বিজ্ঞানের ইতিহাসে থাকা সবধরণের ঘটনাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বয়োবৃদ্ধ এই মামলাটি।
তো যাইহোক, আলোড়ন সৃষ্টিকারী সেই ঘটনার যেসব কুশীলবদের নাম প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তাদের অনেকেই পৃথিবীর পাট চুকিয়েছে বেশ আগেই, অনেকে বার্ধক্যে, অনেকে বিদেশে। শাস্তিটাকে ঠিক শাস্তি অনুভব হতে পারে যে বয়স থাকলে, বেঁচে থাকা অপরাধীরা এখন আর কেউ সেই বয়সে নেই। যার করার, যা পাবার, সবই করা হয়েছে, পাওয়া হয়েছে, নির্বিঘ্নে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার দিনক্ষণ পেছানোর এই সুদীর্ঘ অর্ধশতাব্দীতেই।
সবারই এখন শেষ অপরাহ্ন! এখন আর শাস্তি!!