মাইকেল ফেল্পস এর উচ্চতা ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি আর এল গুয়েরুজ এর উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। কিন্তু এই দুইজনই সেইম দৈর্ঘ্যের ইনসিমওয়ালা প্যান্ট পরে। প্যান্টের ক্রোচ থেকে টাকনু পর্যন্ত যে দৈর্ঘ্য সেটাই ইনসিম। ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং না?
এই দুই ব্যাক্তির আরও একটা ভয়াবহ ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছে, যা তাদেরকে দুনিয়ায় বিখ্যাত করেছে। সেটাই এই ভিডিওতে আপনাদেরকে জানাবো।
জানিয়ে রাখি, এই লেখার তথ্যগুলো আপনাকে টার্গেট ফিক্স করতে হেল্প করবে। ভুল টার্গেট ফিক্স করা থেকে হয়তো সেইভ করবে।
মাইকেল ফেল্পস হচ্ছেন একজন আমেরিকান সাঁতারু। এই ব্যক্তি সর্বকালের সবচেয়ে সম্মানিত অলিম্পিয়ান, যার দখলে থাকা ২৮টি পদকের মধ্যে ২৩টি স্বর্ণ। ঠিক শুনেছেন, তিনি এখন পর্যন্ত অলিম্পিকের সর্বাধিক গোল্ড মেডেলিস্ট।
এল গুয়েরুজ ১৫০০ মিটার ও মাইলের বর্তমান বিশ্ব রেকর্ড ধারী। ২০০৪ অলিম্পিকে তিনি ১৫০০ ও ২০০০ মিটারের দুই ক্যাটাগরিতেই গোল্ড জিতেছিলেন।
এখন তাহলে দুইজন ভিন্ন উচ্চতার মানুষের একই দৈর্ঘ্যের প্যান্ট পরার রহস্য ভেদ করা যাক। মাইকেল ফেল্পস গুয়েরুজের চেয়ে উচ্চতায় লম্বা হলেও তার শরীরের উপরের অংশ কিছুটা বেশি লম্বা ছিলো পায়ের তুলনায়। অন্যদিকে গুয়েরুজের শরীরের উপরের অংশের চেয়ে পা একটু বেশি লম্বা ছিলো। শরীরের এই সুক্ষ্ম তারতম্যের কারণে তাদের ইনসিম সমান ছিলো। এটা তো বুঝেছেন?
এবার তাহলে সেই ভয়াবহ ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা বলা যাক।
ফেল্পস এর শরীরের উপরের পার্ট লম্বা হওয়ার কারণে সাঁতারের ফিনিশিংয়ে এক্সট্রা বেনিফিট পেয়ে থাকে, অন্যদিকে এল গুয়েরুজের পা শরীরের উপরে অংশের চেয়ে পা লম্বা থাকায় দৌড়ে এগিয়ে থাকতে এক্সট্রা বেনিফিট পেয়ে থাকে। আসলে বলা উচিৎ, এই বিষয়টা ওরা কাজে লাগাতে পারে।
বিষয়টা হয়তো আপনার কাছে সিম্পল মনে হচ্ছে। এজন্য একটা টাস্ক দিচ্ছি আপনাকে। ভাবার কাজ। জাস্ট ভাবুন, ফেল্পস পানিতে কিং, আর গুয়েরুজ ল্যান্ডে কিং। এখন এই দুইজনকে জায়গা অদল বদল করে দিন। এবার রেজাল্ট বলুন। রেজাল্ট হচ্ছে কেউই তাদের বর্তমান অবস্থানে পৌঁছাতে পারছে না।
এবার নিজের সাথে রিলেইট করুন, এই দুই ব্যক্তি যদি শরীরের এই তারতম্য বিবেচনায় না নিয়ে যদি দুইজন দুই জায়গায় পরিশ্রম করতো, দিনের পর দিন চেষ্টা করতো শ্রেষ্ঠ হওয়ার, তাহলে কি সেটা সম্ভব ছিলো? না!
আপনাকেও টার্গেট ফিক্স করার সময় এরকম অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে। কারণ, ভুল জায়গায় যদি যুগের পর যুগ চেষ্টা করে যান, তাহলে কিছু হয়তো পাবেন, কিন্তু টার্গেটে পৌঁছাতে পারবেন না।
আপনার রিসোর্সগুলো আগে আইডেন্টিফাই করতে হবে। রিসোর্স গুলোকে আগে চিনতে হবে, তাহলে আপনি বুঝে যাবেন, কোন জায়গায় আপনি ফিট, কোন জায়গায় আপনার জীবনের মূল্যবান সময়টা ব্যয় করবেন, বিনিয়োগ করবেন।
দুনিয়ার সবাই সেরা হয় না, কেউ কেউ হয়। যারা নিজেকে চিনতে পেরে, সঠিক জায়গায় অবস্থান নিতে পারে তারা।